1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:৩৪ অপরাহ্ন

আরামবাগ এলাকায় মধ্যরাতে যৌথ বাহিনীর সাথে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি,

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :
  • প্রকাশিত: রবিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৫
  • ১৫৪ বার পড়া হয়েছে

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :

খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন আরামবাগ এলাকায় মধ্যরাত হতে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর সাথে কেএমপি লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষিত শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাশ ও কালা লাভলু গ্রেফতার। আহত অনেকে। বিপুল পরিমান অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার । শনিবার রাত ১ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর বানরগাতি আরামবাগ এলাকার একটি নির্মানাধীন বাড়িকে ঘিরে পুলিশের অবস্থান। পুলিশের অবস্থানকে কেন্দ্র করে ঔই এলকার মানুষের মধ্যে উত্তেজনার কমতি ছিল না রাত যত ঘনিয়ে আসতে থাকে মানুষের মাঝে যেন উত্তেজনা বাড়তে থাকে। উপস্থিত জনতার মধ্যে কৌতুহলের মাত্রা আরো যেন বাড়তে থাকে। এর মধ্যে রাত সোয়া ১ টার দিকে নির্মানাধীন ঔই বাড়িটিকে কেন্দ্র করে রনক্ষেত্র শুরু হয়। শুরু হয় সন্ত্রাসী ও যৌথ বাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময়। ৩ ঘন্টার বন্দুক যুদ্ধের শেষে এলাকার মানুষ জানতে পারে ঔই বাড়িটিকে কেন্দ্র করে খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসীদের অবস্থান।পুলিশ ও নৌবাহিনীর অভিযান শেষে নির্মানাধীন ঔই ভবন থেকে গ্রেফতার হয় শান্তির নগরী খুলনার আতংক পলাশ শেখ ও তার অন্যতম সহযোগী কালা লাভলু সহ ১০ জন।পুলিশের অভিযান শেষে একে একে বের হতে থাকে সন্ত্রাসী। ঔই সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় নগদ টাকা সহ বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র। খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাশ শেখ এবং তার সহযোগী কালা লাভলু সহ ১০ জন গ্রেফতার হওয়া প্রসঙ্গে আজ খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরে সংবাদ সন্মেলন করেন, পুলিশ কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার। এ সময় তিনি ঘটনার বিস্তারিত বিবরন তুলে ধরেন। এসময় তিনি বলেন, খুলনা সোনাডাঙ্গা মডেল থানার পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে বানরগাতি আরামবাগ এলাকার একটি নির্মানাধীন ভবনে খুলনার কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসী অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ রাত সোয়া ১ টার দিকে ঔই বাড়ি এবং আশপাশের এলাকার কয়েকটি বাড়ি ঘেরাও করে। পুলিশের অবস্থান টোর পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ৮০ থেকে ৯০ রাউন্ড গুলি ছুরতে থাকে। পুলিশ নিজেদের আত্মরক্ষার্থে ৪৭ রাউন্ড গুলি বর্ষন করে। পরে পুলিশকে সাহায্যে করার জন্য নৌবাহিনী এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। পুলিশ ও নৌবাহিনী ঔই নির্মানাধীন ভবনের চারদিকে ঘিরে ফেলে। তখন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ঔই বিল্ডিংয়ের ভেতর থেকে গোলা বারুদ সহ খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাশ সহ ৫ জনকে আটক করে। পলাশের সাথে থাকা অন্যান্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। একপর্যায়ে পুলিশ অস্ত্র সহ আরো ৫ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আনুমানিক ৩ ঘন্টার ও অধিক সময় ধরে পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গুলি বিনিময় চলাতে থাকে। উভয় পক্ষের গোলা গুলিতে ৭ জন পুলিশ সদস্য এবং ১ জন নৌবাহিনীর সদস্য আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যদের পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় এবং আহত সন্ত্রাসীদের চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রিজন সেলে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযানের সময়ে পুলিশ তাদের কাছ থেকে ৩ টি পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি, ১ টি শর্টগান,, ২৩ রাউন্ড শর্টগানের গুলি,২ টি চাইনিজ কুড়াল, ১ টি চাপাতি,১ টি হাসুয়া, ২ টি চাকু, ৪ টি মোবাইল ফোন, ৭ টি মোটরসাইকেল এবং নগদ ১০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাসী পলাশ শেখের বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি, ছিনতাই সহ মোট ১৪ টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। তার মধ্যে ২ টি হত্যা, ৩ টি ডাকাতি, ১ টি অস্ত্র, ২ টি চাদাবাজি এবং অন্যান্য ৬ টি মামলা রয়েছে। পলাশ শেখের অন্যতম সহযোগী কালা লাভলুর বিরুদ্ধে ১ টি ডাকাতি,১ টি অস্ত্র, ১ চাদাবাজি,১ টি পুলিশকে আঘাত জনিত মামলা সহ ৬ টি মামলার অভিযোগ রয়েছে তার নামে। অপর সহযোগী নুর আলম সিদ্দিকি ওরফে লিয়ন শরীফের বিরুদ্ধে ২ টি এবং ইমরান হোসেন ট্যাটু ওরফে ট্যাটু ইমরানের বিরুদ্ধে ১ টি, ফজলে রাব্বি রাজনের বিরুদ্ধে ১ টি, রিপনের বিরুদ্ধে ১ টি ও ইমরানুজ্জামানের বিরুদ্ধে ১ টি মামলা রয়েছে। উদ্ধার হওয়া ৭ টি মোটরসাইকেলর মধ্যে ৫ টির নম্বর প্লেট এবং বাকিগুলোর নম্বর প্লেট নেই।ঔই মোটরসাইকেল গুলোর মালিকানাসহ কাগজপত্র যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। খুলনার ১২ জন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীর মধ্যে ২ জন বাহিরে আছে। বাকীরা কারাগারে আছে। ঔই দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহ থাকবে। নগরীর শান্তি শৃংখলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি বলেন। সংবাদ সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ( এডমিন এ্যান্ড ফিনান্স) আবু রায়হান মুহাম্মাদ সালেহ,স্টাফ অফিসার অপারেশন টু কমখুল শহর খালিশপুর, খুলনা লে: কমান্ডার মো: সামিউর রহমান( এনডি), পিএসসি,বিএন,অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার ( মিডিয়া এ্যান্ড সিপি) খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ মো: আহসান হাবিব, পিপিএম এবং সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট