সজিব শিকদার জেলা প্রতিনিধি।
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের পানগুছি নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবিতে তিন উপজেলার ১৯ জনের প্রাণহানির আট বছর পূর্তি আজ। ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মোরেলগঞ্জ ছোলমবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড খেয়াঘাট থেকে যাত্রীবহনকারী একটি ট্রলার পানগুছি নদীর অপর পাড় পুরান থানার খেয়াঘাটের প্রায় কাছাকাছি পৌঁছায়। এসময় নৌবাহিনীর একটি জাহাজ দ্রুতগতিতে মংলার দিকে চালিয়ে গেলে এর ঢেউয়ের তোড়ে ট্রলারটি উল্টে ডুবে এ দুর্ঘটনা ঘটে। যাত্রীবাহী খেয়া ট্রলারটি ডুবে ৫ শিশু, ৯ নারী ও ৫ জন পুরুষ লোকের সলিল সমাধি হয়। ট্রলারে ৮০ জন যাত্রী ছিল।ওই দিন সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিহতের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছিল। আর সেই সঙ্গে পানগুছি নদীর দু’পাড়ে স্বজন হারানো মানুষের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছিল সেখানকার পরিবেশ। স্বজন হারানো মানুষগুলো খুঁজে ফিরছে নিহত স্বজনের মৃত দেহটি। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় লোকজন ও মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ১৫ জন নারী ও ৮ জন শিশুসহ ৫১ জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন। নিখোঁজ থাকেন ১৯ জন। নিখোঁজদের সন্ধানে নৌবাহিনীর ৩টি, ফায়ার সার্ভিসের ৪টি, কোস্টগার্ডের ২টি ও পুলিশের দুটি দল অংশ নেয়। টানা ৪ দিন উদ্ধার অভিযান চালিয়ে ৪ শিশু, ৯ নারী ও ৫ জন পুরুষের লাশ উদ্ধার করা হয়। আজও নিখোঁজ রয়েছেন কাঁচিকাটা গ্রামের নাছির শেখের ছেলে নাজমুল হাসান (৬)।বর্তমান মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাবিবুল্লা বলেন, নিহতদের পরিবারকে ওই সময় সরকারিভাবে ৪৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়াও নিহতদের স্মরণে খেয়া ঘাটে নাম ফলকসহ একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে।