1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
শুকনো মৌসুমেও রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নে তিস্তার ভাঙন অব্যাহত রয়েছে বড়াল নদীর ক্ষতি না করে সংরক্ষণে জোর দিতে হবে: উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সনদ ব্যতীত ডাক্তার পদবি ব্যবহার করায় ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম তুহিন চৌধুরীর জলঢাকায় আগমন উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী তরুণ দলের আত্মপ্রকাশ  উপজেলা প্রেসক্লাব নাগেশ্বরী এর নতুন কমিটি গঠন  যশোরে ‘কুড়িয়ে পাওয়া’ বোমা বিস্ফোরণে আ,হ,ত ৩ শিশুর একজনের মৃ,ত্যু বীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নি,হ,ত  ভুরুঙ্গামারীতে উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামী ফাউন্ডেশন কমপ্লেক্স ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন পাবনার আটঘরিয়ায় ড্রামট্রাক মটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নি,হ,ত-১ মেহেরপুর জেলা কারাগারের অভ্যন্তরে বিশুদ্ধ পানিসহ বাদ্যযন্ত্র বিতরণ

খুলনায় ঈদ বাজার, তরুনীদের পছন্দের শীর্ষে পাকিস্তানি থ্রিপিস।

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :

হকার থেকে সুপার মার্কেট, ঈদকে সামনে রেখে বেচাকেনার সরগরম খুলনার বিপনী বিতান গুলো। দেশী-বিদেশী পন্যর ভিড়ে গুরুত্ব পাচ্ছে ক্রেতার রুচি পছন্দ।ঈদ আবদারে নারীদের সাজ পোশাকের আবদার লম্বা। আজ নগরীর কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের সময় যত ঘনিয়ে আসছে ক্রেতাদের চাপ তত বাড়ছে। ক্রেতাদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে দোকানীরা তবে এবার ঈদের বাজার দখল করেছে পাকিস্তানি পন্য। দেখতে সুন্দর ও ওয়েটলেস হওয়ার কারনে তরুনী ও যুবতীদের পছন্দের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে পাকিস্তানি পোষাক। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ গেল বছরের তুলনায় এবার পোশাকের দাম তুলনামূলক একটু বেশি। পক্ষান্তরে ব্যাবসায়ীরা জানান, ডলারের দাম বেশি হওয়ার কারনে এ মুল্য বৃদ্ধি হয়েছে। নগরীর প্রানকেন্দ্র ডাকবাংলো মোড় খুলনা শপিং কমপ্লেক্সে ক্রেতার চাপে ভেতরে প্রবেশ করা যেন দায়। সেখানকার বড় বড় দোকানের মধ্যে রয়েছে মারিয়াম এন্টারপ্রাইজ ও বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ। দোকানে ক্রেতাদের সামাল দিতে মালিক ও কর্মচারীদের হিমশিম খেতে দেখা যায়। এবার ঔই দুই দোকানে ইন্ডিয়ান পোশাকের সমারহ কম দেখা গেছে। বেশি ছিল পাকিস্তানি পোশাক। পোশাকের মধ্যে রয়েছে নুরস,মতিস, নিভাইস এবং তাওক্কাল। উল্লেখিত এ পোশাক গুলো সাড়ে ৪ হাজার থেকে শুরু করে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন ব্যাবসায়ীরা। মারিয়াম এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মোঃ আলামিন হোসেন মিঠু বলেন, ক্রেতাদের আর্কষন এখন পাকিস্তানি পোশাকের দিকে বেশি। টিস্যু ও ওয়েটলেস হওয়ার কারনে ক্রেতারা পাকিস্তানি পোশাক নিচ্ছেন বেশি। তিনি আরো বলেন, ভারতীয় পন্য ও ডিজাইনের যে আধিপত্য ছিল তা এখন আর নেই। পাকিস্তান থেকে কিছু পন্য এসেছে তবে তা বড় আকারের নয়। কিন্তু পাকিস্তানি পন্যর প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ রয়েছে। বর্তমানে দেশের টেক্সটাইল খাত অনেক উন্নত। তাই ভারতীয় ডিজাইন ও কোয়ালিটির সাথে টেক্কা দিয়ে দেশি কোম্পানী গুলো ভালো ভালো কাপড় তৈরি করছে। পাকিস্তানি পন্যর পাশাপাশি দেশি কাপড়েরও যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। খুলনা নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির প্রথম বর্ষের ছাত্রী আইরিন ইসলাম নগরীর গ্লাক্সোর মোড় এলাকার বাসিন্দা। তিনি দেড় ঘন্টার মত ঘুরে শারারা ও গারারা কিনেছেন। এটি পাকিস্তানি পোশাক। বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘেটে এ পোশাকটি পছন্দ করে কিনেছেন। তার দাবি দাম গেল বছরের তুলনায় একটু বেশি বলে জানিয়েছেন। একই বিপনি কেন্দ্রের লেটেস্ট কর্নারের কর্মচারী মো: রাজিব বলেন, ১০ রমজানের পর থেকে বেচাকেনা বেশ ভালো শুরু হয়েছে। দিন যত ঘনিয়ে আসছে বেচাকেনা তত ভাল হচ্ছে। বাজারে যতগুলো পোশাকের সমারোহ আছে তার মধ্যে জিমুচি ফেব্রিক্স এবং শারারা গারারার বিক্রি ভাল। এ পোশাক কিনতে তরুনীদের বেশ ভীড় দেখা যাচ্ছে। মেয়ের সাথে এসে যদি মায়ের পছন্দ হয় তাহলে মা এবং মেয়ে দুজনই একই পোশাক ক্রয় করছেন। এসব পোশাক সর্বনিন্ম ৩ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে পাঞ্জাবির দোকানেও ব্যাপক ভিড় পরিলক্ষিত হয়। খুলনা বিপনি বিতান কেন্দ্রের পাঞ্জাবি ঘরের মালিক হুজাইফা বলেন, ১০ রমজানের পর থেকে পাঞ্জাবি বিক্রি বড়েছে ব্যাপক ভাবে। নতুন মডেলের তেমন কোন পাঞ্জাবি আসেনি। যা এসেছে তার মধ্যে রয়েছে স্টার ও টপটেন। স্টার পাঞ্জাবি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায় এবং টপটেন ১০০০ থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, পাঞ্জাবি কেনা ক্রেতাদের মধ্যে তরুন,যুবক ও মধ্য বয়সীদের সংখ্যা বেশি। তবে মহিলা ক্রেতাদের সংখ্যা বেশি। ফ্যামিলির কাপড় কিনতে মহিলারা আসেন বেশি। এদিকে খুলনা বিপনি কেন্দ্রের সামনে হকার আব্দুল লতিফ বলেন, আগের তুলনায় বেচাকেনা বেশ বেড়েছে। ক্রেতাদের মধ্যে নিন্ম আয়ের মানুষের সমাগাম বেশি তার দোকানে। এদিকে খুলনা সিমেট্রি রোডে জুতার দোকান ঘুরে দেখা যায় ক্রেতারা জতা দেখছেন কিন্তু পছন্দীয় জুতা দাম তার গেল বছরের তুলনায় বেশি। এব্যাপারে কথা হয় আবুল হোসেন নামে এক ক্রেতার সাথে তিনি বলেন গেল বছরের তুলনায় এবার জুতার কালেকশন তেমন নয় কিন্তু দাম অনেক বেশি হাকাচ্ছেন দোকানীরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট