মোঃ সালাউদ্দিন মুন্না
২০১১ সাল নবম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় আমার প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় একটি মাসিক পত্রিকায়। ২০১২ সাল দশম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় চলে পুরোদমে গল্প,কবিতা,উপন্যাস লেখা। ২০১৩ সাল থেকে শুরু হয় শিক্ষানবিশ সাংবাদিকতা। শিক্ষানবিশ অবস্থায় কিছুদিন হাতে নিউজ লিখে খামে করে ডাক যোগে পাঠাতাম, নিউজ প্রিন্ট হলে সেটা ওনারা ডাক মাধ্যমে পাঠাতেন। তখনও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এতটা তৎপর হয়ে ওঠেনি। এরপর পত্রিকা থেকে বলা হলো ই-মেইল করে নিউজ পাঠাতে। এবার শুরু হলো ই-মেইল নিউজ পাঠানো। সময়ের সাথে পরিবর্তন হতে লাগলো নিউজ পাঠানোর ধরণ। এরপর ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার আরো সহজ করে দেয় নিউজ পাঠানোর কাজ। ২০২৫ সাল বর্তমান সবচেয়ে জনপ্রিয় নিউজ পাঠানো মাধ্যম হলো হোয়াটসপ। আবার ফিরে আসি শুরুর দিকের কথা। মেজো খালামণির স্বামী অর্থাৎ খালু নিয়মিত পত্রিকা পড়তেন। দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় একদিন একটি পত্রিকা পড়ছিলাম দেখে খালু খুব খুশি হয়ে বলেছিলেন। তুই অনেক বড় হবি। এই অনুপ্রেরণাটা আমার অনেক কাজে লাগে। তৃতীয় শ্রেণী থেকে কবিতা লিখা শুরু করি কিন্ত সেটা সংরক্ষণ করা হয়নি কোথাও পাঠানো হয়নি। তখন ডাকঘর আমার অজানা ও অচেনা। এভাবে চলতে চলতে একটি বইতে পেয়ে যায় এর সমাধান। বইটির নাম মনে না থাকলেও, বইয়ের সে গুরুত্বপূর্ণ লেখাটি মনে পড়ে “কোনো এক লেখকের লেখা কোনো পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে না। তিনি থেমে যাননি বরং আরো লিখতে লাগলেন এবং সেগুলো পত্রিকায় নিয়মিত পাঠাতে লাগলেন। একদিন সত্যি তার লেখা ছাপানো হয়। তিনি পরবর্তী সময়ে বিখ্যাত লেখক হয়ে ওঠেন। এই বই থেকে ডাকঘরের সাথে আমার পরিচয়। শুরুর দিকে একটি-দুইটি কবিতা এভাবে পত্রিকায় পাঠাতাম। পত্রিকা হাতে পেয়ে কবিতা ছাপানো হয়নি দেখে হতাশ হতাম। এরপর সে লেখাটির থেকে পাওয়া অনুপ্রেরণা আমাকে প্রথম ধাপে কবি পরিচয় এনে দিতে হতে সাহায্য করে। আমি এবার একদিন একসাথে আঠারোটি লেখা কবিতা খামে করে একটি মাসিক পত্রিকায় পাঠিয়েছি। এপ্রিল মাসে ঐ ১৮ টি কবিতা থেকে একটি কবিতা ছাপানো হয়।