1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ১২:৪৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
শুকনো মৌসুমেও রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নে তিস্তার ভাঙন অব্যাহত রয়েছে বড়াল নদীর ক্ষতি না করে সংরক্ষণে জোর দিতে হবে: উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সনদ ব্যতীত ডাক্তার পদবি ব্যবহার করায় ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম তুহিন চৌধুরীর জলঢাকায় আগমন উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী তরুণ দলের আত্মপ্রকাশ  উপজেলা প্রেসক্লাব নাগেশ্বরী এর নতুন কমিটি গঠন  যশোরে ‘কুড়িয়ে পাওয়া’ বোমা বিস্ফোরণে আ,হ,ত ৩ শিশুর একজনের মৃ,ত্যু বীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নি,হ,ত  ভুরুঙ্গামারীতে উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামী ফাউন্ডেশন কমপ্লেক্স ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন পাবনার আটঘরিয়ায় ড্রামট্রাক মটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নি,হ,ত-১ মেহেরপুর জেলা কারাগারের অভ্যন্তরে বিশুদ্ধ পানিসহ বাদ্যযন্ত্র বিতরণ

নেত্রকোনায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সরবরাহের অভিযোগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিরুদ্ধে

নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধিঃ 
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৫
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধিঃ 

নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে দুই মাসের এক নবজাতকের জন্য মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। এতে শিশুটির পরিবার ও স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, ২২ মার্চ সকালে উপজেলার গোয়াতলা গ্রামের শাপলা তার দুই মাস বয়সী ভাগ্নে মুনতাহাকে সর্দি-কাশির সমস্যা নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটির জন্য অ্যামক্সিসিলিন পিডি ড্রপসহ আরও দুইটি ওষুধ প্রেসক্রাইব করেন। হাসপাতাল থেকে ওই ওষুধগুলোর মধ্যে দুটি অ্যামক্সিসিলিন পিডি ড্রপ সরবরাহ করা হয়। তবে বাড়িতে ফিরে নবজাতকের ফুফু দেখতে পান, সরবরাহকৃত ওষুধের মেয়াদ এক মাস আগেই উত্তীর্ণ হয়েছে। বিষয়টি জানার পর শিশুটির পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং ২৩ মার্চ রবিবার স্থানীয় সাংবাদিকদের বিষয়টি অবহিত করেন।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শিশুটির ফুফু  শাপলা বলেন,”একটি সরকারি হাসপাতাল কতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন হলে মাত্র দুই মাসের একটি শিশুকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দিতে পারে? এই ওষুধ যদি আমি খাওয়াতাম, আর যদি শিশুর কিছু হয়ে যেত, তবে এর দায় কে নিত?”

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা উত্তম কুমার পাল অভিযোগটি মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন,”আমাদের হাসপাতাল থেকে কখনো মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সরবরাহ করা হয় না। এটি হয়তো আমাকে ফাঁসানোর জন্য সাজানো নাটক। তবে আমি ফার্মাসিস্টদের আরও সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছি, যেন এ ধরনের অভিযোগ আর না ওঠে।”

এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওষুধ সরবরাহ ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। এমন অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। তারা হাসপাতালের দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট