মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:
গাইবান্ধা হতে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে আলু তোলার শ্রমিকের কাজ করতে এসে ভারাটিয়া বাসায় ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী। এ ঘটনা জানাজানি হলে ধর্ষক এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। হুমকি ধারকির কারণে ধর্ষিতা পরিবারটিও আত্মগোপনে রয়েছেন। জানাগেছে, উপজেলার বালিগাঁও গ্রামের প্রভাবশালী মোল্লা বাড়ির সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম সিরাজুল ইসলামের ভাতিজা ও মোঃ সামসুল মোল্লার ছেলে বাবু মোল্লা ওই নারী শ্রমিকের ভাড়াটিয়া বাসায় ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
শনিবার ধর্ষিতা গৃহবধুর স্বামী বলেন গাইবান্ধা জেলায় তাদের বাড়ি। আলুর মৌসুমে এই উপজেলায় শ্রমিকের কাজ করতে স্ত্রীকে সাথে নিয়ে এসেছেন। উপজেলার বালিগাও গ্রামের সুজন মোল্লার বাড়িতে তিনি ও তার স্ত্রী বসত ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন। শুক্রবার বিকালে তার স্ত্রীকে ঘরে একা পেয়ে স্থানীয় সামসুল মোল্লার ছেলে মো. বাবু মোল্লা জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ১০০ টাকা তার স্ত্রীকে দিয়ে বলছে যত টাকা লাগে আমি দিব। কাউকে কিছু বলবি না। স্থানীয়রা জানান, এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে বাবু মোল্লা পলাতক রয়েছে। বাবু মোল্লার পিতা সামসুল মোল্লা ধর্ষণের স্বীকার নারীকে হুমকি-ধামকি দিয়ে এলাকা থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন। স্থানীয়রা আরো জানান, ধর্ষক বাবু মোল্লা ও তার পরিবার এলাকায় খুবই প্রভাবশালী। তার পরিবারের ভয়ে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। আমরা এ ঘটনায় বাবু মোল্লাকে দ্রুত আইনের আওয়তায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী করছি। এই দেশে কোনো ধর্ষকের ঠাই হবে না। বাবু মোল্লা আজ সকালেই পালিয়ে গেছে। সরকারের কাছে আহব্বান ধর্ষকের বিচার নিশ্চিত করুন। এবিষয়ে অভিযুক্ত ধর্ষণকারী বাবু মোল্লার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেন নাই। এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ী থানার ওসি মহিদুল ইসলাম শনিবার রাত দশটার দিকে বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রয়েছে।