সজিব শিকদার জেলা প্রতিনিধি (বাগেরহাট)
রামপালে জোরপূর্বক নিরীহ কৃষিকের জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পৈত্রিক জমি উদ্ধার করতে ভুক্তভোগী নারায়ণ চন্দ্র রায় ও তার বোন রিনা রায় গত বৃহস্পতিবার ( ১৩ মার্চ) রামপাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত ওই অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার হুড়কা ইউনিয়নের কাঠামারি গ্রামের মৃত দ্বিদল কৃষ্ণ রায়ের সন্তানেরা শান্তিপূর্ণভাবে দীর্ঘকাল যাবত ওই জমিতে বসবাস করে আসছেন। সেখানে বসত বাড়ি, গাছপালা, মৎস্য ঘেরসহ নানা স্থাপনা রয়েছে। ওই জমি দাবি করে দখল নিতে কাঠামারি গ্রামের মো. এনামুল শেখ, ইমন শেখ, সোনিয়া বেগম, নাছিমা বেগম, আশরাফ আলী, ঝনঝনিয়ার মো. আলমগীর হাওলাদার, মো. জাহাঙ্গীর হাওলাদার ও মোংলার শামীম শেখ মরিয়া হয়ে উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে তারা জমি দখলের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা বিভিন্ন সময় হামলা-মামলা ও হুমকিসহ নানান ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বিতাড়িত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে বিবাদীগন গত ইং ১৫-০৩-২০১৫ তারিখে বাগেরহাটের সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি দেওয়ানি মামলা দায়ের করেন যার নং- ৩৪/১৫। মামলার জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন যে, তারা নালিশির ওই জমি ভোগদখল করেন না। অথচ দখল নিতে মরিয়া। অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন যে, বিবাদীগণ দিনের বেলায় মহিলা ও পুরুষ মিলে উক্ত জমিতে গড়াবেড়া দিয়ে ও মাটি বেড়ি দেয়ার চেষ্টার অংশ হিসাবে রাতের বেলায় দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে তাদের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
অভিযোগের বিষয়ে এনামুল শেখ ও ইমন শেখ জানান, আমরা ক্রয়কৃত জমিতে বসবাস করছি। অন্যদের জমি দখল নিতে চেষ্টা চালাচ্ছি এটা ঠিক না। বরং আমরা জমি কিনে ভোগদখল করতে পারছি না। তবে দেওয়ানী মামলা নিষ্পত্তি না করে জমি দখল নেওয়া যায় কি-না এমন প্রশ্নে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তারা।
অভিযোগের বিষয়ে রামপাল থানার ওসি মো. সেলিম রেজা সাংবাদিকদের জানান, জোরপূর্বক নিরীহ কৃষকের জমি দখল নেওয়ার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠানো হয়েছে। যেহেতু আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে সেখানে পুলিশের কিছু করার নেই। তবে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সবাইকে সহাবস্থানে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।