জিলা প্রতিনিধি:
আশিয়ান সিটির নজরুল ভূঁইয়া বিগত দেড় দশকের বেশি সময় ছিলেন আওয়ামী সন্ত্রাস বাহিনীর অনুগত। সুবিধা আদায় শেষে ৫ আগস্টের পর থেকে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা শুরু বিএনপির।
এমনি অভিযোগ আশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে। বিগত সময়ে শেখ হাসিনা, হাসানুল হক ইনু, সাহারা খাতুনদের জন্মদিন, রোগমুক্তিসহ নানা কর্মসুচী পালন করেছে। এবার নজরুল ভূঁইয়ার নিজ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ইফতার পার্টির আয়োজন করায় বইছে খিলক্ষেত এলাকাবাসীর সমালোচনার ঝড় ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নজরুল ভূঁইয়া বিগত স্বৈরাচারের আমলে আওয়ামী লীগে সঙ্গে মিলে হত্যা, জমি দখল, নারী নির্যাতনসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন। সাবেক মন্ত্রী সাহারা খাতুন, সাবেক এমপি হাবিব হাসান, খসরু চৌধুরীসহ তখন যে ঢাকা ১৮ আসনের এমপি ছিলেন তাকে ম্যানেজ করে এসব অপকর্ম করতেন। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ২৩টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে জুলাই আগষ্টে ছাত্র হত্যা মামলার রয়েছে ১৩টি। ৫ আগষ্টে পদপরিবর্তনের পরও তার অপকর্ম বন্ধ হয়নি।
গত ১৩ জানুয়ারি রাজধানীর খিলক্ষেতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ৪৮ নং ওয়ার্ডের যুব বিষয়ক সম্পাদক কাউসার দেওয়ান হত্যা মামলারও প্রধান আসামি নজরুল ভূঁইয়া। দলের নেতা হত্যা করেও বিএনপির কিছু অসাধূ নেতা ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করতে বেগ পেতে হয়নি কৌশলী নজরুলের। ফলে এ হত্যাকাণ্ডের দুইমাস পার হলেও ধোয়াছোয়ার বাইরে ফ্যাসিষ্টদের এ দোসর।
এদিকে এত অপকর্মের পরেও এ রমজান মাসে তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মানবকন্ঠের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর প্রশ্নবিদ্ধ কিছু নেতাও এ ইফতার পার্টিতে যোগ দেয়। এনিয়ে সমালোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বত্র।
খিলক্ষেত থানা বিএনপির ফেসবুক পেইজে বিগত সময়ের আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে এবং বর্তমানে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে নজরুলের ছবি পোষ্ট করে বলা হয়, নজরুল ভুইয়া আগে ছিল আওয়ামী লীগ এখন বিএনপির পরিচয় দেয়।
বাড্ডা থানা যুবদল নেতা ফয়সাল তার স্ট্যাটাসে বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্টের সহযোগী আশিয়ান সিটির নজরুল ইসলামের মালিকানাধীন মানব কন্ঠ কিভাবে, কাদের প্রশ্রয়ে নব্য বিএনপি সাজার চেষ্টা করছে! তারেক রহমানের বার্তা উপেক্ষা করে যারা এসব ফ্যাসিস্টদের টাকা খেয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মীর রক্তের সঙ্গে বেঈমানী করছেন সে সকল দালালদেরও বিচার হবে-ইনশাআল্লাহ।
এদিকে অভিযোগের বিষয় আশিয়ানের পক্ষ থেকে জানানো হয় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পর দায়ের হওয়া ১৩ মামলার বেশির ভাগ বাদীই সাজানো ও মামলার অভিযোগ ভিত্তিহীন। ৪৮ নং ওয়ার্ডের যুব বিষয়ক সম্পাদক কাউসার দেওয়ান হত্যা মামলার বিষেয়ে জানান, আশিয়ানের প্রকল্প দখল করতে এসেই উল্টো নিহত হন কাওসার। আর রাজনৈতিক দল বদলের বিষয়ে জানান, ব্যবসার স্বার্থে সব রাজনৈতিক দলের সাথেই সুসম্পর্ক বজায় রাখায় বিশ্বাসী তারা। আর নির্বাচনী এলাকার জন প্রতিনিধি কোন দলের সেটা বিবেচ্য নয় বরং আশিয়ান মনে করেন জনপ্রতিনিধি এলাকার প্রতিটি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের হিতাকাঙ্খি।