1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
চিরিরবন্দর উপজেলা ক্রীয়া সংস্কার,এডহক কমিটির আহবায়ক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা । নীলফামারির ডোমারে ৫০ বোতল ফেনসিডিল সহ একজন আ,ট ক ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে আপত্তির মুখে বাস ভাড়া বাড়ল ৫ টাকা । লফস’র মশারি বিতরণ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে প্রভাতের গ্রাম পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া থেকে পথযাত্রা শুরু করেছেন আল-আমিন মানবিক সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশনের পরিচালক ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় ৪ মা,দ,ক কারবারি আ,ট,ক নীলফামারী পুলিশ লাইন্স মাঠে বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। চিরিরবন্দর, রানীর বন্দরে ড্রাম ট্রাক মোটরসাইকেলে সড়ক দু,র্ঘট,না, নি,হ,ত ১ ,আ,হ,ত ১।

খুলনা কয়রার বোরো চাষিদের আতংকের নাম ইঁদুর, কৃষি অফিস থেকেও পাচ্ছে না পরামর্শ

এম এন আলী শিপলু, খুলনা
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫
  • ৭১ বার পড়া হয়েছে

এম এন আলী শিপলু, খুলনা

খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার বোরো চাষীদের ঘুম কেড়ে নিয়ে রীতিমতো দু:স্বপ্নে পরিণত হয়েছে ইদুর আতংক। উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের বিভিন্ন বিলের বোরো ধান ক্ষেতে ইঁদুরের উৎপাত দেখা দিয়েছে ব্যাপকহারে। ইঁদুর নিধনে ঔষধ প্রয়োগ করেও কোনো উপকার না পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সার, কীটনাশক, শ্রমিকের দাম বৃদ্ধির বোঝা মাথায় নিয়ে এবার বোরো আবাদ করেছেন। ইঁদুরের উৎপাত থেকে রেহাই পেতে কৃষকদের কোন পরামর্শও দিচ্ছেন না উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ।

কয়রা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে ৫ হাজার ৭৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে এবং কৃষি অফিস থেকে ১৫ শত কৃষকের মাঝে বোরো চাষের জন্য কৃষক প্রতি দুই কেজি করে হাইব্রিড বীজ বিতরণ করা হয়েছে।

ভাগবা পশ্চিম বিলের কৃষক মোঃ গোলাম মোস্তফা শিকারী বলেন, এ বছর ১০ বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগাইছি। প্রায় এক মাসের মত সময় ধরে ইঁদুরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ধান গাঢ় কাটিতেছে। ঔষধ দিছি কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। তিনি অভিযোগ করে বলেন, কোনো উপসহকারী কৃষি অফিসার একদিনও আমাদের বিলে আসেননি।

একই বিলের কৃষক আবু সাত্তার গাজী বলেন, আমি এ বছর চারবিঘা জমিতে ধান লাগাইছি কিন্তু ইদুরে ধান গাঢ় কাটতেছে খুব। উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মোটেও আসে না। যদি উপ-সহকারী কৃষি অফিসার একটু বিলে এসে আমাদের পরামর্শ দিতো তাহলে আমরা সেই ঔষধ প্রয়োগ করতাম।

কুশোডাংগা বিলের কৃষক আসাদুল ইসলাম বলেন, এ বছর পাঁচ বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগাইছি খেতে ইঁদুরে ধান কাটছে খুব। ঔষধ দিচ্ছি কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না। আমি প্রতি বছর ধান চাষ করি কিন্তু কৃষি অফিস থেকে কোনো প্রণোদনা পাইনি এবং আমাদের ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আমাদের বিলে মোটেও আসে না।

কুমারখালী বিলের কৃষক মোঃ ফজলু গাজী বলেন, এবছর এক বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগাইছি। হঠাৎ করে ধান ক্ষেতে ইদুর লেগেছে ঔষধ দিচ্ছি কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না।

মহারাজপুর বিলের কৃষক আবুল বাশার বলেন, এ বছর ১ বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগাইছি। হঠাৎ করে ধানগাছে ইঁদুর লাগছে, ঔষধ দিচ্ছি কিন্তু কাজ হচ্ছে না। আমাদের বিলে এখনো কোনো উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আসেনি। যদি কোনো অফিসার এসে আমাদের একটু পরামর্শ দিত তাহলে আমরা সেই ওষুধ আমাদের ক্ষেতে প্রয়োগ করতাম। তাহলে ইঁদুরের হাত থেকে আমাদের বিলের ধানগুলো রক্ষা পেত।

একই বিলের কৃষক হাসান মাহমুদসহ আরও অনেকে একই কথা বলেন।

কয়রা উপজেলা কৃষি অফিসার সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন, ইঁদুরের উপদ্রব্য থেকে কৃষকদের রক্ষা করার জন্য আমাদের কৃষি অফিস, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ কৃষকদের সচেতায় গ্রুপ মিটিং ও উঠান বৈঠক করে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট