মোঃ গোলজার হোসেন।
ক্রাইম রিপোর্টার বাংলাদেশ
আপনারা জানেন নীলফামারী মেডিকেল কলেজটি বন্ধের জন্য একটি কুচক্রিমহল উঠে পড়ে লেগেছে।তারা কেনো এটা করতে চায় জানেন?
তারা চায় এই প্রান্তিক জনপদের মানুষগুলো যেনো সঠিক স্বাস্থ্যসেবা না পায়।তারা যেনো সারাজীবন নিপীড়িত হতেই থাকে।তারা এই এলাকার স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন চায় না।তারা এখন মিথ্যাচার করে বেড়ায় যে মানহীন মেডিকেল।কিন্তু তারা নিজেরাই প্রতিবছর ওডিট করে গিয়েছিলো।এতদিন কেনো মানহীন বলে নাই?এত বছর পর মানহীন বলে,তার মানে তাদের মনে অন্য কোনো প্লান আছে।
তারা এখন এলাকাবাসীর আন্দোলনের ভয়ে কনফারেন্স করে বলে মেডিকেল কলেজ মানেই স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন না।মেডিকেল কলেজ কোনো জেলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না। আমরা আপনাদের নীলফামারী জেনারেল হাস্পাতালের উন্নয়ন করে দিবো।শয্যা সংখ্যা হয়তো বাড়ায় ৫০০ করে দিতে চাইবে,নতুন নতুন অনেক ডাক্তার দিতে চাইবে।
কিন্তু মনে রাখবেন মেডিকেল কলেজ হলেই একদিন ১০০০ শয্যা হবে।সকল সুযোগ সুবিধা পাবেন।জেনারেল হাসপাতালে চেয়ে কয়েকশত গুন সুযোগ পাবেন।
এই নীলফামারী সদর হাসপাতালের নতুন ভবনটি আজ ৭-৮ বছর থেকে চালু হচ্ছে না।আসলে চালু হচ্ছে না এমন না।তারা চালু করতে পারছে না।পর্যাপ্ত লোকবল নাই।মেডিকেল কলেজ হওয়ার সুবাদে কলেজ থেকে বহু সহকারী অধ্যাপক ,সহোযোগী অধ্যাপক ,অধ্যাপক স্যাররা এই সদর হাসপাতালে রোগী দেখেন। মেডিকেল কলেজের নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ স্যার একজন,উনিই সকল অপারেশন করেন হাসপাতালে। চক্ষু বিভাবে শুধু মেডিকেল কলেজের একজন স্যারই গত ১ বছরে ১০০০+ অপারেশন করেছে নীলফামারীবাসীর। স্যারেরা চলে গেলে এসবের কি হবে!!
আজ যদি এই কলেজ না থাকে তাহলে তারা আর সদরে রোগী দেখবে না।কারন জেনারেল হাসপাতালে ডিউটি করা তাদের দায়িত্ব না।এতে ক্ষতি কার হবে? নীলফামারীবাসীর হবে।যারা উপরে বসে প্রেস কনফারেন্স করে তাদের চিকিৎসাসেবার কিছু হবে না।শুধু ধুকে ধুকে মড়বে এই প্রান্তিক জনপদের মানুষ!
তাই এলাকাবাসীকে জানাই ,এই এলাকার ভবিষ্যতের কথা ভেবে এসব স্বাস্থ্যসেবা মন্ত্রণালয়ের চাটুকার ও কুচক্রি মহলের ফাদে পা দিয়েন না।তারা আপনাদের লোভ দেখায় হাসপাতালে সিট বাড়ায় ,নতুন ডাক্তার নিয়োগ দিলেও অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সেসব ডাক্তারকে আবার অন্য জায়গায় পোস্টিং দিয়ে দিবে।
নিজের এলাকার জন্য নিজেদেরই লড়াই করতে হবে।
আগামী ১৬/০৩/২০২৫ ইং রোজ