শামীম হোসেন
স্টাফ রিপোর্টার সাতক্ষীরা,,
সাতক্ষীরা রেঞ্জের অধীনস্ত শ্যামনগর উপজেলার আওতাধীন সুন্দরবনের গহীনে বিষ দিয়ে মাছ শিকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রাপ্ত অভিযোগে প্রকাশ,শ্যামনগরের ক্ষতবিক্ষত দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরার হরিশখালি গ্রামের আহাম্মদ আলী শেখ (৪৬)পিতা মৃত কেনা শেখ।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়,আজ মঙ্গলবার সকালে ৪০০ কেজি বিষ দিয়ে আহরণকৃত,চিংড়ি মাছ কলবাড়ি সেটে বিক্রয় করেন।আশেপাশে জেলে বাওয়ালিদের কাছে খবর নিয়ে জানা যায়, আহমেদ শেখ তার বাহিনী নিয়ে সারা বছর জঘন্য মৎস্য ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত।তার সহযোগী রয়েছে আরো ৪-৫ জন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জেলে এ প্রতিনিধিকে জানান, সাধারণভাবে মাছ ধরলে ২০ থেকে ৩০ কেজি মাছ শিকার করাই কষ্টকর।
সেখানে ৪০০ কেজি মাছ সাধারণভাবে পাওয়া সম্ভব নয়।এটি সন্দেহের অন্যতম কারণ। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে,সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকায় কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীর যোগসাজোসে উক্ত ঘৃণিত কর্মকান্ডে সুন্দরবনের মৎস্যভান্ডার উজার হতে চলেছে।
কয়রা ঘড়িলাল গোলখালী হরিনগর ও গাবুরা এলাকার মানুষ সহ অজ্ঞাত অনেকেই বিষ দিয়ে মাছ শিকারের সঙ্গে যুক্ত। সম্প্রতি সুন্দরবনের পুষ্পকাটি এলাকা হতে অভয়ারণ্যে চুক্তিভিত্তিক
কাঁকড়া শিকার অবস্থায়,স্মার্ট পেট্রোল টিমের অভিযানে আটক করা হয়, পরবর্তীতে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এলাকাবাসী ও জেলেদের মতামত সুন্দরবনের অভয়ারণ্য,
কলাগাছি খলসিবুনি মূল্যে সোনাখালি ধানঘোরা কাটেশ্বর সাপখালি তেরকাটি তেলাকাটা সহ অভয়ারণ্য এলাকায় মাছ শিকার করে থাকে বলে খবর পাওয়া গেছে। বিষ দিয়ে শিকারীরা বেশিরভাগ চিংড়ি মাছ শিকার করে থাকেন সুন্দরবনে বহু প্রজাতির চিংড়িসহ বিস্তারিত মৎস্য ভান্ডার রয়েছে বলে বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে বন বিভাগের সজাগ দৃষ্টি ও নিয়মিত টহল অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন উপজেলার সুধী সাধারন ব্যক্তিবর্গ।