স্টাফ রিপোর্টোর সৈয়দ শিহাব উদ্দিন মিজান
কমলগঞ্জ থেকে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও শ্রমিকলীগের সন্ত্রাসীদের নিয়ে মৌলভীবাজার বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের উপর সেসহ তার নিয়ে যাওয়া, তার সন্ত্রাসী বাহিনী দেশি- বিদেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এতে করে অনেক শিক্ষার্থী গুরুত্বপূর্ণ আহত হয়ে পঙ্গু হয়ে গেছে। অনেকেই এখনও হাসপাতালের বিচানায় মৃত্যুর যন্ত্রণা উপভোগ করতেছে।
এছাড়া, সে ছিল সাবেক মেয়র জুয়েল আহমদ , উপজেলা চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল ও অধ্যাপক রফিকুর রহমানের ক্যাডার। তার মাধ্যমে তারা,, বিএনপি ও জামাতের আন্দোলনের সময় জোর করে গাড়ি চালাতে বাধ্য করত সে। যাতে করে বিএনপি ও জামাতের আন্দোলন ব্যর্থ হয়।যদি কোন ডাইভার তার কথা না শুনতো, তাহলে তাকে তার বাহিনী দিয়ে ধরে এনে হাত পা বেধে,পা ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে , মাথা নিচু করে চালাতে অমানুষিক নির্যাতন।
এই তথ্য জানিয়েছে নির্যাতনের শিকার হওয়া একাধিক ডাইভার। এখনও তার ও তার বাহিনীর ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না কেউ। এখনও হুমকি দিয়ে যাচ্ছে, শেখ হাসিনা আবার ফিরে আসবে,তখন তদের ধরে ধরে কুকুরের মতো জবাই করে ধলাই নদীতে পেলে দিব।
আওয়ামী লীগের প্রভাব কাটিয়ে, জোর করে ভোট সেন্টার দখল করে সভাপতি হয়ে যায় সে। সভাপতি হয়ে অনান্য ডাইভারদের কাছ থেকে, তার বাহিনী দিয়ে জোর করে মাসিক চাঁদা আদায় করে আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়ে ভাগ করে নিত।চাঁদা না দিতে চাইলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দিয়ে সেই ডাইবারকে আর গাড়ি চালাতে দিত না।
এছাড়া, তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, জমিদখল, মদ ও জুয়া ব্যবসা,নারী পাচার, ডাকাতি সহ নানা ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত। রাতে তার এই গাড়ি দিয়ে বাহির এলাকা থেকে ডাকাত এনে কমলগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ডাকাতি করে। বিভিন্ন সময় ধরা খেলেও আওয়ামী লীগের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারে নাই।
এছাড়া, এখনও সে আত্নগোপন থাকা আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করতেছে।
শ্রমিক -জনতা বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছে, তার মতো সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় এনে, তার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে, যা ভবিষ্যতে এমন কেউ করার সাহস না পায় কমলগঞ্জের মাটিতে।