বরিশাল রুপাতলী বাস স্ট্যান্ড তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাস শ্রমিক ও মাহেন্দ্র শ্রমিক দুই গ্রুপের মধ্যে তুমুল মারামারি যাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
ঘটনাটি সূত্রপাত হয় বাকেরগঞ্জ উপজেলার বাসস্ট্যান্ডে, প্রত্যক্ষদর্শী ও ঘটনার সূত্রে জানা যায় বাকেরগঞ্জ উপজেলার বাসস্ট্যান্ড মাহেন্দ্রা ড্রাইভার মোঃ সোহেল গাজী যাত্রী নেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে থাকে এবং যাত্রী নেয়ার জন্য যাত্রীদের ডাকতে থাকে, এমন সময় তামিম তোহা পরিবহন একি স্থানে এসে পৌঁছে যাত্রী ডাকেন, মাহিন্দ্রা ড্রাইভার কেন যাত্রী ডাকে এই নিয়ে দুই পক্ষের ভিতরে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এমন সময় স্থানীয় জনগণ সহ-যোগিতায় রক্ষা পেলেও রুপাতলি লিলিপাম্পের সামনে আসলে আর রক্ষা হয়নি মাহিন্দ্রা চালক সোহেল গাজীর।
সোহেল গাজী আসার সাথে সাথে শুক্কুর, কালাম সহ বেশ কয়েকজন মিলে লাঠি শোঠা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সোহেল গাজী উপর অতর্কিত হামলা করে, এর সাথে বাসের ড্রাইভার, হেল্পার ও সুপারভাইজার ঘটনাস্থলে মাহিন্দ্রা ড্রাইভার এর উপরে হামলা চালায়। পরবর্তীতে জানা যায় নাতি-কালামের নির্দেশেই এই হামলা পরিচালিত হয়েছেন।
মাহিন্দ্রা চালকে লাথি ঘুশি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে বাসস্ট্যান্ডে ফেলে সটকে পরে তারা এমত অবস্থায় মাহিন্দ্রা ও সিএনজি চালক শ্রমিকরা খবর পেলে চালকে উদ্ধার করে প্রথমিক চিকিৎসা দেন।
পরে সোহেল গাজী একটু সুস্থ হলে মাহিন্দ্রা ও সিএনজির সাধারন সম্পাদক আরিফুল ইসলম সুমন ঘটনা শুনে ঘটনা এস্থানে পৌঁছান।
পরে চালক ও শ্রমিকের মুখের ভাষ্য শুনে নাতি কালাম কে ফোন দেয় নাতি কালাম ফোন রিসিভ না করে কেটে দেয়।
পরে রুপাতলি সব মাহিন্দ্রা ও সিএনজি চালকরা জড়ো হলে তাৎক্ষণিক একটি প্রতিবাদ মিছিল করেন এক্ষেত্রে মাহেন্দ্রা সিএনজির রুপাতলী শাখা কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মোল্লার ভূমিকা ছিল চালকদের প্রতি অপরিসীম।
সমস্ত বরিশালের মাহিন্দ্রা ও সিএনজি চালকরা জড়ো হতে শুরু করলে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বরিশাল রুপাতলী মিনিবাস কতিপয় চালক পাতানো নির্বাচনের নতুন নেতা নাতি কালাম বিচার করার আশ্বাস দিয়ে সন্ধ্যায় বসার একটি সময় দেয়।
সেই সময় মেনে নিয়ে মাহিন্দ্রা ও সিএনজি চালক ও শ্রমিক ভাইরা যার যার গাড়ী চালাতে চলে যায়।
কিন্তু সেটা যে তার সাজানো একটা নাটক ছিলো সেটা মাহেন্দ্রা ও সিএনজি চালকরা বুঝতে পারেনি।
এতগেল দুপুরের ঘটনা।
সন্ধ্যায় বিচারে বষার আগ মুহূর্তে রাসেল হাওলাদার বিচারে বসার জন্য চালক ও শ্রমিক ভাইদের ডাকতে গেলে রাসেল হাওলাদার কে হত্যার উদ্দিশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করেন ও এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকেন এক পর্যায়ে বৃষ্টির মতন মার সহ্য করতে না পেরে সে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরেন পরে তাকে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এই ঘটনা পুলিশ কেস হিসেবে ফাইল বদ্ধ হয়েছে।
রাসেল হাওলাদের মামা চুন্নু সিকদার সাংবাদিকদের জানান আর একটু সময় অতিবাহিত হলে আমার ভাইগ্নাকে বাঁচানো যেত না একটা মানুষকে যে আর একটা মানুষ কে এভাবে মারতে পারে আমি এই প্রথম দেখলাম।
যাইহোক আমার ভাগীনাকে যারা নির্মমভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে মেরেছে তাদের আমি বলবো এই ব্যাপারে আর মীমাংসা হওয়ার সুযোগ নেই।
আমি মামলা করবো।
নাতি কালামে খুটির জোর কোথায়? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খেতেই অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে এক সময়ের আওয়ামী লীগের প্রতাপশালী বাস মিনিবাসের কমিটির এক নেতা আনোয়ার সিকদার ছিলো তার বস আর আনোয়ার শিকদারের বস ছিল সাবেক বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি সুলতান মাহমুদ এই সুলতান মাহমুদের সময়ও আনোয়ার শিকদার ও নাতি কালাম মিলে বহু চালক শ্রমিক দের নির্যাতন করেছে।
বহু চালক ও শ্রমিকের মাথা ফাটিয়েছেন রক্তাক্ত করেছেন। সেই নাতি-কালাম ভোল পাল্টে জুলাই আগস্ট এর পরে বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদারের লোক হয়ে ওঠেন । নাতি কালামের আগে থেকে রুপাতলী বাসস্ট্যান্ডে মলম পার্টির একটি গ্রুপ ছিল সেই গ্রুপটি নিয়ন্ত্রণ করতে নাতী কালাম কোন ধনী যাত্রী উঠলেই তার পাশে বসিয়ে দিতেন তারই মলম পাটির সদস্যদের তারা গাড়িতে বসে যাত্রীকে ফুসলিয়ে ফাঁসলিয়ে খাবারের সাথে অজ্ঞানের ট্যাবলেট মিশিয়ে অজ্ঞান করে সর্বোচ্চ লুট করে নিয়ে আসতো এই নাতি কালামের অজ্ঞান ও মলম পার্টির লোকজন বেশ কয়েকবার যাত্রীকে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়।
তাদের বাস থেকে এভাবেই যাত্রীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ লুট করে ফুলে ফেঁপে ওঠে নাতি-কালাম।
আর জিয়া শিকদারের সর্বোচ্চ সেলটারে তিনি এখন হয়ে উঠেছেন মূর্তিমান আতঙ্ক কাউকে সে পরোয়া করে না।
জিয়া সিকদারের পাতানো একটা নির্বাচনের মাধ্যমে নাতি কালামকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে নিয়ে আসেন। এই নির্বাচন নিয়ে শুরু থেকেই অভিযোগ ছিল একাধিক পুরণ সদস্য কার্ড বাতিল করে এই পাতানো নির্বাচনে বাস শ্রমিক সদস্য গণের কাছেই তিনি গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছেন।
এ বিষয়ে পূরণ বাস শ্রমিক ও বরিশাল জেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কালাম ওরফে ব্লেড কালমা মনের খোপ থেকে বলেন আমরাই বাস স্ট্যান্ড প্রতিষ্ঠা করেছি প্রতিষ্ঠার লগ্ন থেকেই আমরা বাস মিনিবাসের সংগঠনের শ্রমিক কার্ড ধারী সদস্য আমি সহ বহু সদস্যের কার্ড বাতিল করে অনেক নেতাকে পাশ কাটিয়ে জিয়া শিকদারের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এই পাতানো নির্বাচন দিয়ে নাতি-কলমকে নেতা বানানো হইছে।
যার কারনেই রুপাতলী বাস মিনিবাস শ্রমিকদের মাঝে অস্থিরতা দেখ দিয়েছে।
মাহিন্দ্রা ও সিএনজি চালক আর শ্রমিকগণ সাংবাদিকদের বলেন এর যদি কোন সুষ্ঠু বিচার না পায় তাহলে তারা রাজপথ অবরোধ করার মতন কর্মসূচি ঘোষণা দিবেন।