সৌদি আরবে ৬৫ জন শ্রমিকের বেতনের ৮৯ লাখ ৭৮ হাজার ও জমানো ৬৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে গাঁ ঢাকা দিয়েছে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার দুই প্রতারক। ৪ মার্চ’২৫, মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব মঠবাড়িয়া উপজেলা শাখায় ভান্ডারিয়া উপজেলার পূর্ব ভান্ডারিয়া গ্রামের শুখরঞ্জন দাসের ছেলে সাগর দাস সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তার দুই কাকা (চাচা) বাবুল দাস ও অধীর দাস দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে থেকে শ্রমিকের কাজ করার পাশাপাশি শ্রমিকদের সরদারি করে আসছেন। সেই সুবাদে মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের বুখাইতলা বান্ধবপাড়া গ্রামের সাবেক মেম্বার শামসুল হক এর ছেলে জহির ও রফিকের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে পরিচয় হয়। আমার কাকা বাবুল দাস এর সাথে ওই দুই প্রতারক জহির ও রফিক পার্টনার হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব দিলে দেশি লোক হিসেবে আমার কাকা তাদের প্রস্তাব মেনে নেয়। অভিযুক্তরা কিছুদিন ভালোভাবে কাজ ও লেনদেন করে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি’ ২০২৫ তারিখে বাবুল দাস ও অধীর দাস অভিযুক্ত জহির ও রফিকের হাতে ৬৫ জন শ্রমিকের পাওনা বন্টন করে দেয়ার জন্য বাংলাদেশী মূল্যের ৮৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকা তুলে দেন। এ ছাড়াও তাদের কাছে আমার কাকারা ৬৫ লাখ টাকা আমানত ( জমা ) রেখেছিলো। এর পরক্ষণেই অভিযুক্তরা রুমে তালা দিয়ে মোবাইল বন্ধ করে এই দুই প্রতারক আত্মগোপনে যায়। বর্তমানে আমার ওই দুই কাকা প্রবাসে ৬৫ জন শ্রমিকের মারাত্মক চাপে রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ভুক্তভোগীদের নিকট আত্মীয় লিটন দাস, হৃদয় দাস। অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।