(বগুড়া থেকে মোঃ আশরাফুল ইসলাম)
উত্তর বঙ্গের প্রবেশ দ্বার বগুড়া জেলার বনানী বাস ষ্ট্যান্ডের পূর্ব পাশে GUK চক্ষু হাসপাতাল টি ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে। GUK একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ( NGO)। বগুড়া জেলার গাবতলি উপজেলার চকসুূুদু গ্রামের ড. মোঃ আলমগীর হোসেন ১৯৯৩ সালে GUK প্রতিষ্ঠাতা করেন, বর্তমানে তিনি প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক। GUK এর বিভিন্ন ধরনের সামাজিক উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম রয়েছে-উল্লেখ যোগ্য কার্যক্রম ক্ষুদ্র ঋণ,শিক্ষা ক্ষেত্রের উন্নয়নে ও হত দারিদ্র্যে জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবা বাস্তবায়ন প্রকল্প। GUK প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পূর্বে উত্তর বঙ্গের অধিকাংশ মানুষ চক্ষু চিকিৎসার জন্য রাজধানী শহর ঢাকায় যেতো। GUK চক্ষু হাসপাতালে চক্ষু রোগীদের স্বল্প মূল্য ছানী অপারেশন, মাংস বৃদ্ধি অপারেশন, নেত্রনালীর অপারেশন, ক্যালাজিয়ন অপারেশন,ডায়াবেটিস রোগীদের চোখের লিজারটা চিকিৎসা, রেটিনার Inj. Avastin,কম্পিউটারের মাধ্যমে চোখের চশমার পাওয়ার নির্নয় সহ সকল ধরনের চক্ষু চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। হাসপাতালে মাসিক ৮০০ থেকে ১০০০জন চক্ষু রোগী চিকিৎসকের পরামর্শ ও ৫০০ থেকে ৭০০ জন রোগী চক্ষু রোগের বিভিন্ন অপারেশন করে থাকেন। হাসপাতালের চিকিৎসা সেবায় ৯জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও সার্বিক চিকিৎসা সেবা প্রদানে নার্স,টেকনোলজিষ্ট সহ চক্ষু চিকিৎসার উপর বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ১৪৩জন ষ্টাফ রয়েছে। বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবা উন্নয়নে (চক্ষু)Islamia Eye Institute and Hospital, Dhaka সারা বাংলাদেশে দীর্ঘ দিন যাবৎ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে। গতকাল Islamia Eye Institute and Hospital, Dhaka এর Epidemiologist-Mohammad Shamsal Islam বগুড়া GUK চক্ষু হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। GUK চক্ষু হাসপাতাল বগুড়ার পরিচালক ডাঃ এইচ.এস.এম রেজাউন্নবী মন্ডল এর সাথে Epidemiologist-Mohammad Shamsal Islam উত্তর বঙ্গের প্রবেশ দ্বার বগুড়ায় চক্ষু চিকিৎসার উন্নয়নে সকল ধরনের সহযোগিতা, প্রশিক্ষণ, পরামর্শ সহ আধুনিক বিশ্বের চক্ষু চিকিৎসা করার সকল ধরনের সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করেন। হাসপাতালের পরিচালক অতিথি কে GUK চক্ষু হাসপাতালের সকল কার্যক্রম ও সেবা সমূহ পরিদর্শনের জন্য ডাঃ আব্দুল্লাহ আল জোহা (চক্ষু চিকিৎসক)কে সঙ্গে পাঠান। Epidemiologist-Mohammad Shamsal Islam পর্যায় ক্রমে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার, রোগীর আবাসন ব্যবস্থা,পরিক্ষা-নীরিক্ষা কক্ষ সহ রোগীদের সাথে হাসপাতালের কথা বলেন,রোগীরা হাসপাতালের আধুনিক চক্ষু সেবা ও পরিবেশের জন্য সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন। Epidemiologist পেডিয়্যাট্রিক (শিশু)চক্ষু চিকিৎসা সেবা উন্নয়নে দ্রুত সহযোগিতা করার আশা ব্যর্থ করেন। Epidemiologist হাসপাতালের সকল স্টাফদের বলেন মানব সেবা মহৎ কাজ,আপনারা রোগীদের কে ধনী-গরিব ভেদে বিভেদ করবেন না,আপনারা মহান পেশায় নিয়োজিত, সবার ভাগ্যে মানব সেবা করার সুযোগ আশে না,বিশ্ব নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) মানব সেবার কথা বলেছেন।
Epidemiologist-Mohammad Shamsal Islam- GUK চক্ষু হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে কৈগাড়ী সিও অফিস সংলগ্ন ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজার রহমান মিলন (সহকারী অধ্যাপক TMSS মেডিকেল কলেজ, বগুড়া) পরিচালিত -বগুড়া আই কেয়ার এন্ড ফেকো সেন্টার পরিদর্শন করেন ও চক্ষু চিকিৎসা উন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন।