রাঙামাটি প্রতিনিধি
বৃহস্পতিবার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সভাকক্ষে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আয়োজিত ‘ বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় যুব সমাজের ভুমিকা” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এই সময়ে উপস্থিত ছিলেন প্রধান আলোচক চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিস্টার রাজা দেবাশীষ রায়, সেমিনারে বিশেষ আলোচক ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার, সভাপতি পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান শ্রী জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু), পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সুবর্না চাকমা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিম।
সন্তু লারমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারি যদি সবাই মুসলমান হত তাহলে এ বৈষম্য তৈরি হত না। বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা শাসন বিদ্যমান। শুরু থেকে জরুরী অবস্থা, এরপর আশির দশকে অপারেশন দাবানল নামে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা শাসন ছিল। শান্তি এবং শোষণ নিপীড়ন থেকে বাঁচার জন্য ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও পাহাড়ের মানুষ তা থেকে মুক্ত হতে পারেনি।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিস্টার রাজা দেবাশীষ রায় বলেন, ‘কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি বাঙালীদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করা হয়। প্রকৃত অর্থে পাহাড়ের স্থায়ী বাঙ্গালীদের সাথে পাহাড়িদের মাঝে কোন বিরোধ নেই। এখানে বৈষম্য জিইয়ে রাখা হয়েছে।’
সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে এস মং মারমা, শিক্ষাবিদ শিশির চাকমা, প্রভাষক আনন্দ জ্যোতি চাকমা, উন্নয়নকর্মী তনয় দেওয়ান।