মো: রমিজ আলী,সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি(চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ডিসি পার্ক সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন পার্কিং ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বাকবিতণ্ডার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এই দ্বন্দ্ব সহিংস রূপ নেয়, যা পরবর্তীতে পার্শ্ববর্তী ডিসি পার্কেও ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় দেশীয় অস্ত্র স্বস্ত্রের ব্যবহারের পাশাপাশি ডিসি পার্কে ভাঙচুর এবং গুলাগুলির ঘটনা ঘটে।
এই বিষয়ে স্টাফ অফিসার টু ডিসি ও সহকারী কমিশনার মোঃ ইসরাফিল জাহান গণমাধ্যমকে জানান, সীতাকুণ্ড, ডিসি পার্ক সংলগ্ন রাস্তায় ট্রাক,লরীর ড্রাইভার ও শ্রমিকদের দুই পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন বাকবিতণ্ডা হয় এবং সহিংসতায় রুপ নেই। সহিংসতা প্বার্শবর্তী ডিসি পার্কে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটগণ সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পার্কিং ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে এক পক্ষ পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। তারা পার্কের জায়গায় ভাঙচুর করে এবং দেশীয় অস্ত্র থেকে গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষের সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রের পরিণত হয়।
এই সময় ডিসি পার্কে ফুল উৎসব চলছিল। চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকরা ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করছিলেন। হঠাৎ করে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে পার্কের দর্শনার্থীদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কগ্রস্ত মানুষজন জীবন বাঁচাতে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। অনেকে আশ্রয়ের জন্য পার্কের গাছ ও স্থাপনার আড়ালে লুকিয়ে পড়েন।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটগণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে।
এ ঘটনায় কতজন হতাহত হয়েছেন বা আটক করা হয়েছে, সে বিষয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় সূত্রের দাবি, বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংঘর্ষের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি ডিসি পার্ক ও সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানো যায়।