হাফেজ মুহাম্মদ নাজিম উদ্দীন ভোলা জেলা প্রতিনিধি
ভোলা জেলা চরফ্যাশন উপজেলা, আসলাম পুর ইউনিয়নের আবুগঞ্জে একটি হৃদয় বিদারক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে আসমা বেগম নামে এক গৃহবধুকে স্বামী ও শাশুড়ি নির্মমভাবে হত্যা করে।
খুনি শাকিব(স্বামী) তার স্ত্রী আসমাকে বলে তোমার বাবাকে বলবে নগদ 30000 ত্রিশ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য আমি মোবাইল কিনবো এ বলে আসমা বেগম কে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় এবং বলে সে যেন টাকা নিয়েই বাড়ি ফিরে অন্যথায় তাকে ঘরে জায়গা দিবে না। অসহায় বাবা তার মেয়ের একটু সুখের জন্য 6 মাসের সময় চেয়ে 30000 হাজার টাকা দিতে রাজি হন। কিন্তু খুনি পরিবার তা মানতে রাজি নয় ঝামেলা করতে থাকে।
মৃত্যুর দিন:নির্মম সেই ঘটনার দিন 2/2/2025 ইং রবিবার সকাল 9 টার সময় আসমা বেগম তার মায়ের সাথে ফোনে কথা বলে এক পর্যায়ে আসমা তার মাকে জানায় মা ওরা ইদানিং আমার সাথে আগের চেয়েও বেশি খারাপ আচরণ করতাছে আমার অনেক ভয় লাগে গো মা আমারে আমনের কাছে লইয়া জান নয়তো আমনে আমার কাছে কয়দিনের জন্য আয়া থাকেন আমার অনেক ভয় লাগে !
আসমার শেষ কথাটি ছিল শাকিব মোবাইলে যে মাইয়ার লগে কথা কয় ঐ মাইয়ার লগে দেখা করতে বরিশালে যাইবো এই কথা শুনে স্বামী শাকিব তাঁর হাত থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে কেটে দেয়। এবং আসমা কে মারধর শুরু করে পাঁচ মাসের গর্ভবতী আসমা বেগমকে যখন পেটে লাথি মারে তখন অসহায় আসমা ব্যাথায় চিৎকার দিয়ে উঠে তখন ঘরের বাহির থেকে দাজ্জাল শাশুড়ি এসে মুখ চেপে গলা টিপে হত্যা করে।
প্রতিবেশীরা জানায় তাৎক্ষণিক ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে দিয়ে ইঁদুর মারার বিষ মুখের মধ্যে মেখে দিয়ে বলতে থাকে আসমা বিষ খাইছে তার বাবা মাকে ও ৯.৪০ মিনিটের সময় তার বাবা মাকে জানায় যে আপনার মেয়ে আসমা বিষ পান করে খুনি শাকিব ও তার মা আসমাকে কাপড় দিয়ে ঢেকে মেডিকেলে নিয়ে যায় আসমার মৃত দেহের ক্ষত চিহ্ন দেখে যখন চিকিৎসক তাদেরকে একের পর প্রশ্ন শুরু করে তখন তারা আসমার দূরবর্তী আত্মীয় পরিচয় দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। খুনি: মোঃ শাকিব , পিতা মোঃ আলমগীর ঠিকানা: জেলা ভোলা, উপজেলা চরফ্যাশন, ইউনিয়ন আসলামপুর, আবুগঞ্জ বাজার।
বিঃদ্রঃ উক্ত খুনি কুলাঙ্গার শাকিব কে আইনের হাতে তুলে দিতে সহায়তা করুন সহায়তা কারী ও সন্ধান দাতাকে নগদ টাকা দিয়ে পুরস্কৃত করা হবে।