মোঃ ইলিয়াছ খান ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি
খেলাধুলার সময় ছবি ছবি তোলা নিয়ে স্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারিকে কেন্দ্র করে, ফরিদপুরের সালথা উপজেলার দুই ইউনিয়নের মানুষ ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, আজ রবিবার সকালে সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া বাজারে ও যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া এলাকায় অন্তত ১০ হাজার মানুষ দেশীয় অস্ত্রসহ নিয়ে জোড়হান। তবে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ চেষ্টা চালিয়ে বিবাদমান বল্লভদী ও যদুনন্দী ইউনিয়ন বাসির বড় ধরনের সহিংসতার হাত থেকে রক্ষা পান। পরে দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা রাতে ঘরে ফিরে যান। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, শনিবার ১ফেব্রুয়ারি বিকালে ফুলবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে খেলাধুলা নিয়ে যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া ও বল্লভদী ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া গ্রামের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। তবে মারামারি বিষয়টি ও ভাই ইউনিয়নের বাসিন্দারা মেনে নিতে পারেনি। যার কারণে পান্নার পর থেকে ই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এক পর্যায়ে রাতেই উভয় ইউনিয়নের লোকজন জড়ো হতে থাকে। এ সময়টা দেশি অস্ত্রসস্ত্র আশপাশে মজুদ করে রাখেন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে প্রথমে সালথা থানার পুলিশ ও পরে সেনাবাহিনীর স্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এখন পরিবেশ শান্ত আছেন এলাকায়। বল্লভদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ খন্দকার সাইফুর রহমান শাহিন বলেন, খেলাধুলার সময় ছবি তোলা নিয়ে ফুলবাড়িয়া গ্রামের শিক্ষার্থীদের মারধর করেন খারদিয়া গ্রামের মানুষ মনে করে যে যদুনন্দী ইউনিয়নের কাউকে মানুষ বলে মনে করেন না।তাই বাধ্য হয়ে আমার ইউনিয়নের লোকজন ঝড় হয়েছিল প্রতিবাদ করতে। তবে সালথা উপজেলার ইউএনও, ওসি,ও সেনাবাহিনী ও উপজেলার বিএনপির নেতাদের চেষ্টায় সংঘর্ষে জড়াতে পারেনি কেউ। যদুনন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রফিক মোল্লা বলেন। ঘটনাটি মীমাংসার কথা হয়েছে তবে কিবা কোন কারণে কেমন সংঘর্ষের প্রস্তুতি হয়েছে নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান। সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ আতাউর রহমান বলেন শনিবার বিকালে ফুলবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে খেলাধুলা সময় ছবি তোলা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারি হয়েছে বলে তিনি জানান।এ সময় খারদিয়া গ্রামের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে ফুলবাড়িয়া গ্রামের শিক্ষার্থীদের মারধর করেন, তিনি আরো বলেন আমরা গতকাল রাতভর দুই ইউনিয়নের বাসিন্দা নেতাদের সাথে কথা বলে শান্ত করার চেষ্টা করেছি। তারপরও রবিবার সকালে উভয় ইউনিয়নের ১০ হাজার মানুষ সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। পরে পুলিশের সেনাবাহিনী মিলে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এখন উপায় ইউনিয়নের পরিবেশ শান্ত রয়েছে। সালথা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আনিসুর রহমান বালি বলেন আমি খবর পেয়ে চেয়ারম্যানদেরকে ফোন দিয়েছি বলেছি এলাকার কোনভাবেই আর যেন পরোটা ঝামেলায় না জড়ায় সে বিষয় দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নেই আমাকে বলেছে আর কোন সংঘর্ষে কেউ জড়াবেন না। এমনকি কোনভাবেই আর যেন কেউ সংঘর্ষে জড়াতে না পারে এ বিষয়ে তারাও চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।