কামরুল হাসান আন্তর্জাতিক ডেস্ক::ফিলিস্তিনের উত্তর গাজায় বাসিন্দারা যুদ্ধ বাস্তুচ্যুত বসতবাড়িতে ফিরতে চাইলেও বর্বর ইসরাইলি সামরিক আগ্রাসনের কারণে ফিরতে পারছেন না গাজাবাসি।
এদিকে মার্কিন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মিশর জর্ডান সহ অন্যান্য আরব দেশগুলো আরো বেশি শরণার্থী গ্রহণ করুক সেটি দেখতে চান। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ইঙ্গিত কে ফিলিস্তিনের জনগণ ভালো চোখে দেখেনি।
যুদ্ধবাজ ইসরাইল দাবি করছে হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি লংঘন করেছে। তাই তারা অবরুদ্ধ সড়ক খুলে দিতে অস্বীকার করছে। ফলশ্রুতিতে হাজার হাজার গাঁজাবাসীর রাস্তায় রাত্রি যাপন করেছে ।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে বহু বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি সালাউদ্দিন সড়কে রাত কাটিয়েছেন। উত্তর থেকে দক্ষিণ গাজায় যাওয়ার মূলসড়ক এটি। গাজা উপত্যকার কেন্দ্রস্থল বরাবর নেৎজারিম করিডরে অবস্থান নিয়ে আছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা এই পথ দিয়েই বসতবাড়িতে ফিরে যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন।
গাজা যুদ্ধে বাড়িঘর হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন তামের। তিনি বলেন, ‘এখানের অনেকেই জানেন না তারা যে বসতবাড়ি রেখে এসেছেন, তা কী আগের মতো আদৌ দাঁড়িয়ে আছে, নাকি ইসরাইলের বোমায় মাটিতে মিশে গেছে। কিন্তু এসব সত্ত্বেও তারা ফিরতে চাচ্ছেন।’
গাজা যুদ্ধে বাড়িঘর হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন তামের। তিনি বলেন, ‘এখানের অনেকেই জানেন না তারা যে বসতবাড়ি রেখে এসেছেন, তা কী আগের মতো আদৌ দাঁড়িয়ে আছে, নাকি ইসরাইলের বোমায় মাটিতে মিশে গেছে। কিন্তু এসব সত্ত্বেও তারা ফিরতে চাচ্ছেন।’
জাজিম, খাবার ও তাঁবুভর্তি গাড়ি, ট্রাক ও রিকশা নিয়ে তারা অপেক্ষা করছেন। যুদ্ধের সময় আশ্রয়ের জন্য তাদের এসব দিয়েছিলেন স্বেচ্ছাসেবীরা। মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় ও মার্কিন সমর্থনে দুই পক্ষের মধ্যে যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে, তাতে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের নিজেদের আবাসভূমিতে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার কথাও আছে।
তামের আল-বুরই আরো বলেন, গাজায় ফিরে যেতে এক বিশাল জনসমুদ্র অপেক্ষা করছেন।
কিন্তু ইসরাইলি বাহিনী সড়ক অবরোধ তুলে নিচ্ছে না। সবাই বিরক্ত ও হতাশ।
এদিকে ইসরাইল বলছে, জীবিত ইসরাইলি জিম্মিদের তালিকা দিতে ব্যর্থ হয়েছে হামাস। এছাড়াও আরবেল ইহুদ নামের এক নারীকেও তারা ফেরত দিতে পারেননি। ফলে উত্তর গাজায় যাওয়ার ক্রসিংগুলো খুলে দিতে অস্বীকার জানিয়েছে তারা।