নিজস্ব প্রতিবেদক
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে অবৈধভাবে ফসলী জমি থেকে মাটি কেটে অরক্ষিত অবস্থায় পরিবহন ও সড়কের ক্ষতিসাধনসহ বিভিন্ন অপরাধে ৩টি ড্রাম ট্রাক জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাত ৮টায় ঢাকা-দিনাজপুর আঞ্চলিক সড়কের পৌরসভার খলসী বটতলী এলাকায় ড্রাম ট্রাকে মাটি পরিবহনের সময় সড়কের উপর মাটি ফেলায় ২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়ে ৩ জন আহত হয়। এতে স্থানীয় জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে ২টি ড্রাম ট্রাক আটক করে উপজেলা প্রশাসনকে খবর দেয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা অভিযান চালিয়ে ৩টি ড্রাম ট্রাক জব্দ করেন।
জানা যায়, উপজেলার রাজাহার, শাখাহার ও সাপমারা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় রাতের আঁধারে স্কেভেটর দিয়ে অবৈধভাবে মাটি কেটে ড্রাম ট্রাকের মাধ্যমে ইট ভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে পরিবহন করা হয়। সারারাত ধরে চলে এই মাটিকাটার মহোৎসব। গতকাল (শনিবার) রাতে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের বটতলী নামকস্থানে ড্রাম ট্রাক থেকে মাটি পড়ে গিয়ে ঢাকা-দিনাজপুর আঞ্চলিক সড়কের উপর মাটির স্তুপ সৃষ্টি হয়। এতে সড়ক দিয়ে চলাচলরত যানবাহনের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। রাত আটটার দিকে ২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩ জন আহত হলে স্থানীয় জনতা ফুঁসে উঠে। তারা সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে অভিযুক্ত ড্রাম ট্রাক ২টি আটক করে বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে খবর দেয়। পরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মুঠোফোনে খবর দেন। ৩ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও উপজেলা প্রশাসনের কেউ ঘটনাস্থলে না আসলে তারা ড্রাম ট্রাক ২টি ছেড়ে দেয়। এদিকে গভীর রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ২টি ড্রাম ট্রাকসহ ৩টি ড্রাম ট্রাক জব্দ করে উপজেলা চত্বরে নিয়ে যান। জব্দকৃত ড্রাম ট্রাক ৩টি হচ্ছে ঢাকা মেট্রো ট ১৩-৮২০২, বগুড়া ট ১১-২৬৯১ ও ঢাকা মেট্রো ট ১৩-৭৪১০। এ ঘটনায় আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা জানান, অভিযানের সময় ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে জব্দকৃত ৩টি ড্রাম ট্রাক এসিল্যান্ড অফিসের সামনে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। অবৈধভাবে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলন করে পরিবহনের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।