কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিমু হোসাইন ও আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক জিহাদ হাওলাদার এর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ সংঘটিত হয়।
যুগ্ম আহ্বায়ক রিমু হোসাইনের অনুসারী আহত ছাত্রকর্মী এস এম শাকিল বলেন, ‘আমি ও আমার বন্ধুরা মিলে ওভার ব্রিজের ওপর বসে একজনের সঙ্গে কথা বলছিলাম। তখন জিহাদ হাওলাদারের অনুসারী ফয়সালা ও তার বন্ধুদের ওই জায়গা থেকে সরে যেতে বলি। এই নিয়ে তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ড হয়। বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে তারা চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পরে আমরা শাকিল চত্বরে অবস্থান করার সময় জিহাদ হাওলাদারের নেতৃত্বে ২০ জনের একটি দল আমাদের ওপর দিয়ে হামলা চালায়। এতে রিমু ভাইও আহত হন। আমার পায়ে রড দিয়ে পাঁচটি আঘাত করা হয়। আমি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে এখন বাসায় অবস্থান করছি।’
অভিযোগ অস্বীকার করে যুগ্ম আহ্বায়ক জিহাদ হাওলাদার বলেন, ‘ক্যাম্পাসের ভেতরে কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। কলেজের সামনে শাকিল চত্বরে আমার ছোট ভাইদের সঙ্গে হাতাহাতির একটি ঘটনা ঘটে। আমি সেখানে গিয়েছিলাম বিষয়টি মীমাংসা করতে, যেহেতু এটি ছোট ভাইদের মধ্যকার একটি ঘটনা।’
প্রথমে মারামারির অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরবর্তী সময়ে যুগ্ম আহ্বায়ক জিহাদ হাওলাদারের অনুসারী ফয়সাল আলম ঘটনা স্বীকার করে বলেন, ‘সে (শাকিল) ওভারব্রিজের ওপর ছিনতাই করছিল। ছিনতাই করতে বাধা দেওয়ায় প্রথমে সে গালাগালি করে এবং পরবর্তী সময়ে বাদাম ভাজার ঘুটি নিয়ে আমাদের আঘাত করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শাকিল একসময় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। বর্তমানে সে রিমুর আশ্রয়ে ক্যাম্পাসে রাজনীতি করছে।’এ ঘটনায় পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে । আতঙ্কে রয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ।