স্টাফ রিপোর্টার মোঃ সোহেল মিয়া
সবকিছুর দাম আকাশচুম্বী হলেও, বাড়েনি মানুষের দাম।
বাড়েনি দরিদ্র ও মধ্যবিত্তের ইনকাম।
ধনীর ধন বেড়েই যায়,
গরিব থাকে অসহায়।
অসচ্ছলতার বোঝায়
গরীবের ঘাড় বেঁকে যায়।
সরকারি বেসরকারি সকল চাকুরিজীবীর কম বেশি বেড়েছে বেতন। বেড়েছে জীবন জীবিকার মাধ্যম।
তাই বাজারদর মেঘ ছুঁইছুঁই হলেও তাদের তেমন মাথাব্যথা নেই। স্বাচ্ছন্দ্যেই চলছে তাদের জীবন।
তবে দিনমজুর, শ্রমজীবী, রিকশা চালক, মোটকথা দৈনন্দিন খেটে খাওয়া মানুষগুলো, তাদের জীবনে শুধু অসহায়ত্ব বেড়েই যায়।
তরিতরকারি সহ দ্রব্যমূল্যের এই আকাশচুম্বী দরের বাজারে, তাদের জীবন দুর্বিষহ অবস্থা।
সারাদিন খেটে বেলা শেষে বাজারে ঢুকতেই, যেন আকাশ ভেঙে মাথায় পড়ার উপক্রম। সারাদিনে যা ইনকাম হয়েছে, তা দিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে চাউলই হয়না। তরিতরকারিতো দূরকি বাত।
অবশেষে চোখ ভরা অশ্রু আর এক বুক বেদনা নিয়ে, ফিরতে হয় বাসায়।
হয়তো কোনোদিন সামান্য খাবার পেটে পড়ে,আবার কোনোদিন সন্তানদের খাবারের ব্যবস্থা করে, নিজেকে অনাহারেই কাটাতে হয় রাত।
১মাস খানেক আগেও যেখানে সবজির বাজারে যেতেই ঘুরে উঠতো মাথা।
এক কেজি আলু ৮০টাকা
এক কেজি পেয়াজ ১৬০ টাকা
এক কেজি বেগুন তাও ১০০ টাকা।
মাছ মাংসেরতো নামই নেওয়া দুষ্কর।
এমন দুর্বিষহ অবস্থায় যখন মানুষ হারমেনে যাচ্ছিল জীবনযুদ্ধে,
তখনই শীত এলো এলো সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষের জিবনে কিছুটা স্বস্তি।
শীতের মৌসুমে কমেছে সবজি সহ নানা রকমের তরিতরকারির দাম। বর্তমান বাজারে সবজির দাম
পেয়াজ ১ কেজী ৪০ টাকা
আলু ১ কেজী ৪০ টাকা
বেগুন ১ কেজী ৫০ টাকা
ফুলকপি ২০ টাকা কেজী তাছাড়াও কমেছে সিম টমেটো সহ সকল প্রকার কাঁচা বাজারের দাম। তাই সাধারণ মানুষের আর্তনাদ শীত তুমি দীর্ঘজীবী হও।