সারাফাত হোসেন ফাহাদ স্টাফ রিপোটার
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ধলেশ্বরী টোলপ্লাজায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় একই পরিবারের ০৪ জন সহ মোট ০৬ জন নিহতের ঘটনায় দায়ী ঘাতক বাস চালক মোহাম্মদ নুরুদ্দিন’কে গত রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গত ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ আনুমানিক সকাল ১১:০০ ঘটিকায় ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার ধলেশ্বরী টোলপ্লাজায় ব্যাপারী পরিবহন নামক একটি বেপরোয়া গতির বাসের (ঢাকা মেট্রো ব-১৪-৫১৭০) চাপায় পিষ্ট হয়ে নারী ও শিশুসহ ০৬ (ছয়) জনের নির্মম মৃত্যু হয়। মর্মান্তিক এ সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়টি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচিত হয়। র্যাব বর্ণিত ঘটনায় ঘাতক চালককে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায়, র্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখা, র্যাব-১০ ও র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল অদ্য মধ্য রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন মিজমিজি এলাকা থেকে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় জড়িত ঘাতক বাস চালক মোঃ নুরুদ্দিন (২৯), পিতাঃ মোঃ রফিক, সাং-মধ্য জয়নগর,থানা- দে․লতখান,জেলা-ভোলা’কে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত বাস চালক দুর্ঘটনার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।
জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত নুরুদ্দিন গত ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ সকাল আনুমানিক ১০.১৫ ঘটিকায় ৬০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার সায়েদাবাদ হতে পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে যািচ্ছল। বাসটিতে যাত্রীবোঝাই থাকলেও সে দ্রæত পৌছানোর জন্য বেপরোয়া গতিতে বাসটি চালাতে থাকে। পরবর্তীতে সে একই তারিখ সকাল আনুমানিক ১১.০০ ঘটিকার সময় ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার ধলেশ্বরী টোলপ্লাজায় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে টোল প্লাজায় টোল দেয়ার জন্য অপেক্ষারত একটি প্রাইভেট কার ও একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। উক্ত ঘটনায় প্রাইভেট কারের ০৪ জন এবং মোটরসাইকেলে থাকা একজন মহিলা এবং সাত বছরের বাচ্চাসহ মোট ০৬(জন) নিহত হয়। এ ঘটনায় আরো ১০ জন গুরুত্বর আহত হয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত নুরুদ্দিন গত ১০ বছর ধরে বাস,ট্রাক,পিকআপসহ বিভিন্ন ধরণের গাড়ি চালিয়ে আসছিল। তার ড্রাইভিং লাইসেন্স ০২ বছর যাবৎ মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল। এছাড়াও বাসটির কোনো ফিটনেস সনদ ছিল না। দুর্ঘটনার পর সে কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে অটোতে করে আব্দুল্লাহপুর আসে। এরপর সে সিএনজিযোগে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে তার ফুফাতো বোনের বাসায় চলে যায় পরবর্তীতে সেখান থেকে র্যাব-১০ এবং র্যাব-১১ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল কর্তৃক বর্ণিত আসামী ধৃত হয়।গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।